মাত্র ৫ বছর হল বিয়ে হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই যেন সেই আকর্ষণটা অনেকটাই কমে এসেছে। বিশেষ করে মীরার দিক থেকে এই সমস্যা বেশি আসছে। অপরূপ আগের মতো কাছে আসার চেষ্ঠা করলেই যেন বিরক্ত লাগে। তার চেয়ে মোবাইলে গল্প করা, বই পড়া কিংবা ঘুমিয়ে থাকায় বেশি উৎসাহ পায় ও।
যা নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে ওদের বিবাহিত জীবনেও। যদিও মীরা-অভিরূপ একা নন, এই সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। এক সমীক্ষা বলছে বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে ২২-২৮ শতাংশ এবং লিভ ইনে থাকা কাপলদের ১০-১৫ শতাংশ এই সমস্যায় ভোগেন।
সবার আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। মেয়েদের থাইরয়েড, সিস্ট জাতীয় রোগের জন্য যে ওষুধপত্র চলে, সেগুলোর জন্য যৌ’নইচ্ছে কমে যায় বলেই দেখা গিয়েছে একাধিক গবেষণায়। এই অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সব থেকে ভালো।
অনেকেই শারীরিক সম্পর্কের সময় ব্যথা পান। মেয়েদের ক্ষেত্রেই মূলত এই সমস্যা হয়। তারাও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এমনকী, নারকেল তেলও ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
সম্পর্কে সমস্যা শারীরিক চাহিদা না থাকার একটা বড় কারণ। এমনিতেই পরিস্থিতির চাপে পড়ে মানসিক সমস্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় সঙ্গীর সঙ্গে অনবরত ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকলে তা যৌ’ন সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে। এরকম হলে কোনও মনোবিদের পরামর্শ নিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত টানও কিন্তু যৌ’ন চাহিদা কমে যাওয়ার একটা বড় কারণ। তাই সবচেয়ে ভালো হয়, রাতের দিকটা বা সকালে যখন দু’জন একসঙ্গে থাকেন তখন মোবাইলের ব্যবহার কম করলে। বরং, দু’জনে গল্প করুন। লকডাউন বা করোনার জন্য ঘুরতে যাওয়ার অপশন কমেছে।
তাই ছাদে বসেই গল্প করতে পারেন। একসঙ্গে দেখতে পারেন কোনও রোম্যান্টিক সিনেমাও। এমনকী, ঘরের টুকিটাকি কাজও একসঙ্গে করুন। যত সময় একসঙ্গে কাটাবেন, টান তত বাড়বে।